Anesthesia এনেসথেসিয়া আবিষ্কার চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য একটি মাইলফলক। এনেসথেসিয়ার আবিষ্কার না হলে আমাদের চিকিৎসাব্যাবস্থা হত নির্মম এবং কষ্টকর। রোগীরা সার্জিক্যাল অপারেশনে ছুরির নিচে নির্ভয়ে শুতে পারছে এই anesthesia ‘র কল্যাণে।
আমরা যখন anesthesia নিয়ে কথা বলব তখন ক্রাফোর্ড লং, উইলিয়াম মরটন, চার্লস জ্যাকসন এবং হোরাস ওয়েলস এর কথা স্মরণ না করে পারি না। এই মানুষগুলো কিছু ক্ষেত্রে ব্যাথা নিবারণের জন্য ইথার এবং নাইট্রাস অক্সাইড প্রথম ব্যবহার করেন। রসায়নের ছাত্ররা লাফিং গ্যাসে কথা ভালো করেই জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, লাফিং গ্যাস হলো নাইট্রাস অক্সাইড। এই গ্যাস মানব শরীরে প্রবেশ করলে সে অনবরত বিনাকারণে হাসতে থাকে তাই এই গ্যাসকে বলা হয় হাসির উদ্রেককারী গ্যাস বা লাফিং গ্যাস।
১৮০০ সালের দিকে এই উপাদানগুলো মূলত ব্যবহার করা হত মজা এবং আনন্দ দেয়ার জন্য। এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলোকে বলা হতো “লাফিং পার্টিস”, “ইথার ফ্রোলিক্স” ইত্যাদি। ১৮৪৪ সালে হোরাস ওয়েলস একজন লোককে দেখেছিলেন। যে লাফিং পার্টিতে অংশ নিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছে। তার পা থেকে রক্ত ঝরতে লাগলো। সে জানালো যে সে কোণ ব্যাথা অনুভব করছে না। দূর্ঘটনা থেকে আবিষ্কৃত হলো মহান এক আবিষ্কার। পরবর্তীতে হোরাস নিজের দাঁত তুলে ফেলার সময় এনেসথেটিক কমপাউন্ড ব্যবহার করলেন। তিনি কোন ব্যাথা পেলেন না। তারপর থেকে মেডিক্যাল প্রোসিডিউর এবং সার্জারিতে anesthesia ব্যবহার শুরু হলো। ওয়েলস, মরটন, জ্যাকসন দন্ত চিকিৎসায় এনেসথেসিয়া ব্যবহার করতে শুরু করলেন। অন্যদিকে ক্রাফোর্ড ছোটখাট শল্যচিকিৎসায় এটা ব্যবহার শুরু করলেন। আপনার যদি কখনো এটার প্রয়োজন হয় তখনি আপনি বুঝতে পারবেন অপারেশনে anesthesia গুরুত্ব কতখানি।